Bible Language

1 Corinthians 11:16 (BNV) Bengali Old BSI Version

1 আমি তোমাদের প্রশংসা করিতেছি যে, তোমরা সকল বিষয়ে আমাকে স্মরণ করিয়া থাক,
2 এবং তোমাদের কাছে শিক্ষামালা যেরূপ সমর্পণ করিয়াছি, সেইরূপই তাহা ধরিয়া আছ।
3 কিন্তু আমার ইচ্ছা এই, যেন তোমরা জান যে, প্রত্যেক পুরুষের মস্তকস্বরূপ খ্রীষ্ট, এবং স্ত্রীর মস্তকস্বরূপ পুরুষ, আর খ্রীষ্টের মস্তকস্বরূপ ঈশ্বর।
4 যে কোন পুরুষ মস্তক আবৃত রাখিয়া প্রার্থনা করে, কিম্বা ভাববাণী বলে, সে আপন মস্তকের অপমান করে।
5 কিন্তু যে কোন স্ত্রী অনাবৃত মস্তকে প্রার্থনা করে, কিম্বা ভাববাণী বলে, সে আপন মস্তকের অপমান করে; কারণ সে নির্ব্বিশেষে মুণ্ডিতার সমান হইয়া পড়ে।
6 ভাল, স্ত্রী যদি মস্তক আবৃত না রাখে, সে চুলও কাটিয়া ফেলুক; কিন্তু চুল কাটিয়া ফেলা কি মস্তক মুণ্ডন করা যদি স্ত্রীর লজ্জার বিষয় হয়, তবে মস্তক আবৃত রাখুক।
7 বাস্তবিক মস্তক আবরণ করা পুরুষের উচিত নয়, কেননা সে ঈশ্বরের প্রতিমূর্ত্তি গৌরব; কিন্তু স্ত্রী পুরুষের গৌরব।
8 কারণ পুরুষ স্ত্রীলোক হইতে নয়, বরং স্ত্রীলোক পুরুষ হইতে।
9 আর স্ত্রীর নিমিত্ত পুরুষের সৃষ্টি হয় নাই, কিন্তু পুরুষের নিমিত্ত স্ত্রীর।
10 এই কারণ স্ত্রীর মস্তকে কর্ত্তৃত্বের চিহ্ন রাখা কর্ত্তব্য—দূতগণের জন্য।
11 তথাপি প্রভুতে স্ত্রীও পুরুষ ছাড়া নয়, আবার পুরুষও স্ত্রী ছাড়া নয়।
12 কারণ যেমন পুরুষ হইতে স্ত্রী, তেমনি আবার স্ত্রী দিয়া পুরুষ হইয়াছে, কিন্তু সকলই ঈশ্বর হইতে।
13 তোমরা আপনাদের মধ্যে বিচার কর, অনাবৃত মস্তকে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করা কি স্ত্রীর উপযুক্ত?
14 স্বয়ং প্রকৃতিও কি তোমাদিগকে শিক্ষা দেয় না যে, পুরুষ যদি লম্বা চুল রাখে, তবে তাহা তাহার অপমানের বিষয়;
15 কিন্তু স্ত্রীলোক যদি লম্বা চুল রাখে; তবে তাহা তাহার গৌরবের বিষয়; কারণ সেই চুল আবরণের পরিবর্ত্তে তাহাকে দেওয়া হইয়াছে।
16 কিন্তু কেহ যদি বিবাদী হওয়া বিহিত বোধ করে, তবে এই প্রকার ব্যবহার আমাদের নাই, এবং ঈশ্বরের মণ্ডলীগণেরও নাই।
17 কিন্তু এই আদেশ দিবার উপলক্ষে আমি তোমাদের প্রশংসা করি না, কারণ তোমরা যে সমবেত হইয়া থাক, তাহাতে ভাল না হইয়া বরং মন্দই হয়।
18 কারণ প্রথমতঃ, শুনিতে পাইতেছি, যখন তোমরা মণ্ডলীতে সমবেত হও, তখন তোমাদের মধ্যে দলাদলি হইয়া থাকে, এবং ইহা কতকটা বিশ্বাস করিতেছি।
19 আর বাস্তবিক তোমাদের মধ্যে দলভেদ হওয়া আবশ্যক, যেন তোমাদের মধ্যে যাহারা পরীক্ষাসিদ্ধ তাহারা প্রকাশিত হয়।
20 যাহা হউক, তোমরা যখন এক স্থানে সমবেত হও, তখন প্রভুর ভোজ ভোজন করা হয় না,
21 কেননা ভোজনকালে প্রত্যেক জন অপরের অগ্রে তাহার নিজের ভোজ গ্রহণ করে, তাহাতে এক জন ক্ষুধিত থাকে, আর এক জন বা মত্ত হয়। কেমন?
22 ভোজন পান করিবার জন্য কি তোমাদের বাড়ী নাই? অথবা তোমরা কি ঈশ্বরের মণ্ডলীকে অবজ্ঞা করিতেছ, এবং যাহাদের কিছু নাই, তাহাদিগকে লজ্জা দিতেছ? আমি তোমাদিগকে কি বলিব? কি তোমাদের প্রশংসা করিব? বিষয়ে প্রশংসা করি না।
23 কারণ আমি প্রভু হইতে এই শিক্ষা পাইয়াছি এবং তোমাদিগকে সমর্পণও করিয়াছি যে, প্রভু যীশু যে রাত্রিতে সমর্পিত হন, সেই রাত্রিতে তিনি রুটী লইলেন, এবং ধন্যবাদপূর্ব্বক ভাঙ্গিলেন,
24 কহিলেন, ‘ইহা আমার শরীর, ইহা তোমাদের জন্য; আমার স্মরণার্থে ইহা করিও’।
25 সেই প্রকারে তিনি ভোজনের পর পানপাত্রও লইয়া কহিলেন, ‘এই পানপাত্র আমার রক্তে নূতন নিয়ম; তোমরা যত বার পান করিবে, আমার স্মরণার্থে ইহা করিও’।
26 কারণ যত বার তোমরা এই রুটী ভোজন কর, এবং এই পানপাত্রে পান কর, তত বার প্রভুর মৃত্যু প্রচার করিয়া থাক, যে পর্য্যন্ত তিনি না আইসেন।
27 অতএব যে কেহ অযোগ্যরূপে প্রভুর রুটী ভোজন কিম্বা পানপাত্রে পান করিবে, সে প্রভুর শরীরের রক্তের দায়ী হইবে।
28 কিন্তু মনুষ্য আপনার পরীক্ষা করুক, এবং এই প্রকারে সেই রুটী ভোজন সেই পানপাত্রে পান করুক।
29 কেননা যে ব্যক্তি ভোজন পান করে, সে যদি তাঁহার শরীর না চিনে, তবে সে আপনার বিচারাজ্ঞা ভোজন পান করে।
30 এই কারণ তোমাদের মধ্যে বিস্তর লোক দুর্ব্বল পীড়িত আছে, এবং অনেকে নিদ্রাগত হইতেছে।
31 আমরা যদি আপনাদিগকে আপনারা চিনিতাম, তবে আমরা বিচারিত হইতাম না;
32 কিন্তু আমরা যখন প্রভু কর্ত্তৃক বিচারিত হই, তখন শাসিত হই, যেন জগতের সহিত দণ্ডাজ্ঞা প্রাপ্ত না হই।
33 অতএব, হে আমার ভ্রাতৃগণ তোমরা যখন ভোজন করিবার জন্য সমবেত হও, তখন এক জন অন্যের অপেক্ষা করিও।
34 যদি কাহারও ক্ষুধা লাগে, তবে সে বাটীতে ভোজন করুক; তোমাদের সমবেত হওয়া যেন বিচারাজ্ঞার হেতু না হয়। আর সকল বিষয়, যখন আমি আসিব, তখন আদেশ করিব।