1 ধার্ম্মিকগণ, সদাপ্রভুতে আনন্দধ্বনি কর; প্রশংসা করা সরল লোকদের উপযুক্ত।
2 তোমরা বীণাতে সদাপ্রভুর স্তব কর, দশতন্ত্রী নেবলে তাঁহার উদ্দেশে গীত গাও।
3 তাঁহার উদ্দেশে নূতন গীত গাও, জয়ধ্বনিসহ মনোহর বাদ্য কর।
4 কেননা সদাপ্রভুর বাক্য যথার্থ, তাঁহার সকল ক্রিয়া বিশ্বস্ততাসিদ্ধ।
5 তিনি ধার্ম্মিকতা ও ন্যায়বিচার ভালবাসেন; পৃথিবী সদাপ্রভুর দয়াতে পরিপূর্ণ।
6 আকাশমণ্ডল নির্ম্মিত হইল সদাপ্রভুর বাক্যে, তাহার সমস্ত বাহিনী তাঁহার মুখের শ্বাসে।
7 তিনি সমুদ্রের জলরাশির ন্যায় সঞ্চিত করেন, তিনি জলধি সকল ভাণ্ডারে রাখেন।
8 সমস্ত পৃথিবী সদাপ্রভুকে ভয় করুক; জগন্নিবাসী সকলে তাঁহা হইতে ভীত হউক।
9 তিনি কথা কহিলেন, আর উৎপত্তি হইল, তিনি আজ্ঞা করিলেন, আর স্থিতি হইল।
10 সদাপ্রভু জাতিগণের মন্ত্রণা ব্যর্থ করেন, তিনি লোকবৃন্দের সঙ্কল্প সকল বিফল করেন।
11 সদাপ্রভুর মন্ত্রণা চিরকাল স্থির থাকে, তাঁহার চিত্তের সঙ্কল্প পুরুষানুক্রমে স্থায়ী।
12 ধন্য সেই জাতি, যাহার ঈশ্বর সদাপ্রভু, সেই লোকসমাজ, যাহাকে তিনি নিজ অধিকারার্থে মনোনীত করিয়াছেন।
13 সদাপ্রভু স্বর্গ হইতে দৃষ্টিপাত করেন, তিনি সমুদয় মনুষ্য-সন্তানকে নিরীক্ষণ করেন।
14 তিনি আপন বাসস্থান হইতে দৃষ্টিপাত করেন, পৃথিবীর সমস্ত নিবাসীর উপরে।
15 তিনি একে একে তাহাদের হৃদয় গঠন করেন। তিনি তাহাদের সমস্ত কার্য্যালোচনা করেন।
16 কোন রাজা মহাসৈন্য দ্বারা ত্রাণ পায় না; বীর মহাশক্তি দ্বারা নিস্তার পায় না;
17 ত্রাণের জন্য অশ্ব মিথ্যা, সে আপন মহাশক্তিতে রক্ষা করিতে পারে না।
18 দেখ, সদাপ্রভুর দৃষ্টি তাহাদের উপরে, যাহারা তাঁহাকে ভয় করে, যাহারা তাঁহার দয়ার প্রতীক্ষা করে,
19 মৃত্যু হইতে তাহাদের প্রাণরক্ষা করিবার জন্য, দুর্ভিক্ষে তাহাদিগকে বাঁচাইয়া রাখিবার জন্য।
20 আমাদের প্রাণ সদাপ্রভুর অপেক্ষায় রহিয়াছে; তিনিই আমাদের সহায় ও আমাদের ঢাল।
21 হাঁ, আমাদের চিত্ত তাঁহাতেই আনন্দ করিবে, কেননা আমরা তাঁহার পবিত্র নামে বিশ্বাস করিয়াছি।
22 সদাপ্রভু, তোমার দয়া আমাদের উপরে বর্ত্তুক, কেননা আমরা তোমার অপেক্ষা করিয়াছি।